ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘হাত খুলে’ টাকা দিতে চাচ্ছে

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১৮ ২১:৪৬:৪২
দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘হাত খুলে’ টাকা দিতে চাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে হাত খুলে টাকা দিতে চাচ্ছে।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে বিকাল ৩টার দিকে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, দাতা সংস্থা এখন তো আমাদের সাহায্য করতে চাচ্ছে। তারা আমাদের হাত খুলে টাকা দিতে চাচ্ছে। কেন সেটা জানি না। যেমন ইউএসএইড বলেছে তোমরা যেকোনও প্রকল্প নিয়ে আসো আমরা দিয়ে দেবো, আমাদের কোনও সমস্যা নেই।

অন্য দ্বিপাক্ষিক-বহু পাক্ষিক দাতারা বলছেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকার হলেও তাদের চলমান প্রকল্প চালিয়ে যেতে কোনও অসুবিধা নেই। এরপর এও বলেছে– আমাদের নতুন চাহিদার কথাও বলতে বলেছে। তারা বলেছে যতদূর পারে তারা অর্থায়নের চেষ্টা করবে।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট বেশ কিছু প্রকল্প বহুদিন ধরে পড়ে আছে উল্লেখ করে বলেন, বৈদেশিক সাহায্যেরে একটি বিরাট পাইপলাইন পড়ে আছে। কিন্তু কেন পড়ে আছে সেটা জানি না। এগুলো ব্যবহার হচ্ছে না। হয়তো তাদের শর্ত ও আমরা যেভাবে যাচাইবাছাই করি তাতে অমিল থেকে যায়। এছাড়া মনিটরিং বেশি হওয়ার কারণে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলো ঠিকাদাররা এটা বাস্তবায়নে আগ্রহী হন না।

অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বহু প্রকল্প বছরের পর বছর পরিকল্পনা কমিশনের হিমাগারে পড়ে আছে। বিশ্বব্যাংকের এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প বেশ কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে। এগুলোকে আমরা ‘মৃত্যু প্রকল্প’ বলতে পারি। দাতারা বলেছেন, এগুলো আমরা এখান থেকে ছাড় করে দিলে এই অর্থ তারা আমাদের বাজেট সহায়তার জন্য উন্মুক্ত করে দেবে। আমরা এই অর্থটা অবমুক্ত করে ডিসেম্বরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার পেয়ে যাবো। অন্যান্য সংস্থারও পড়ে থাকা প্রকল্পের অর্থ নতুন প্রকল্পে দিতে রাজি রয়েছে।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিগত দিনে নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্প পাস করা হলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে গিয়ে মন্ত্রণালয় মনের আনন্দে কাজ করতো। প্রকল্প পরিচালক, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, ঠিকাদার মিলে প্রকল্প যেভাবেই অনুমোদন হোক না কেন তারা তাদের মতো করে বাস্তবায়ন করতো। এই কারণে প্রকল্পে একাধিকবার সময় বাড়াতে হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে হয়েছে। আমরা চিন্তা করেছি যাচাই-বাছাই হবে, তবে যতটা সম্ভব আমলতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে দ্রুত একনেকে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রকল্পের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধির চিন্তা করছি। এতে করে তাদের দায়বদ্ধতা থাকবে। বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হয়ে এর জন্য কে দায়ী সেটা চিহ্নিত করা কঠিন। আমরা এমন কোন অপরিকল্পিত প্রকল্প নেবো না যাতে অর্থের অপচয় হবে।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে