উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রায়োজেনিক এয়ার সেপারেশন প্লান্ট(এএসপি)স্থাপন করতে চীনের এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত। কোম্পানির খাতুনগঞ্জেরআছাদগঞ্জ কর্পোরেট অফিসে আজ সোমবার এ চুক্তিসই করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, অত্যাধুনিকপ্রযুক্তি,আন্তর্জাতিক মাননিয়ন্ত্রণ এবংবিশুদ্ধভাবে দৈনিক ২৫০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ক্রায়োজেনিক এয়ার সেপারেশন প্লান্ট(এএসপি)স্থাপন করতে চায় জিপিএইচ ইস্পাত। এ লক্ষ্যে চীনের সিচুয়ান এয়ার সেপারেশন প্লান্ট(গ্রুপ)কোম্পানিলিমিটেডের(এসএএসপিজি)সাথে একটি চুক্তি করেছেকোম্পানিটি। চুক্তিতেজিপিএইচরপক্ষেঅতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল ও চীনের পক্ষেএসএএসপিজির ভাইস জেনারেল ম্যানেজার শান কাই এ সই করেন।
জিপিএইচ ইস্পাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমবলেন,বাংলাদেশে অন্য এয়ার সেপারেশন প্লান্ট যেমন লিন্ডে বাংলাদেশের মতো কোম্পানি গুলোগড়েদৈনিক ৮০ টন উৎপাদন ক্ষমতা রাখে।সেখানে আমরা ২৫০ টন উৎপাদন করবো। যেটা দেশের ভবিষ্যৎ ইস্পাত শিল্পের জন্য বেশ ইতিবাচক হবে বলে আমি মনে করি।
এছাড়াআমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল,মেডিকেল এবং স্থানীয়ভাবে তাবেশ কম দামেবাজারজাতকরতে পারবো। বাফারিং ও সিলিন্ডার ফিলিং স্টেশনের জন্য বাংলাদেশে তা হবে প্রথম স্থাপনা। জিপিএইচ ইস্পাত শিল্পখাতে বর্তমান ও নতুন প্লান্ট মিলিয়ে ১ মিলিয়ন টন বারস ও মিডিয়াম সেকশন তৈরি করবে। সামগ্রিকভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয়,প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০০ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। বছরে ২৫ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে।
অনুষ্ঠানেচীনের এসএএসপিজির ভাইস জেনারেল ম্যানেজার শান কাই বলেন,বাংলাদেশের সাথে চীনের সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্য,বিনিয়োগ ও সহায়তার সম্পর্কখুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশ ইস্পাত শিল্পে জিপিএইচের অনেক সুনাম আছে। এই সুনামকে ধরে রেখে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এবং এই খাতে তাদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা খুশি।
চুক্তিঅনুষ্ঠানটিসঞ্চালনা করেনজিপিএইচেরমিডিয়া এ্যাডভাইজার ওসমান গনি চৌধুরীএবংজিপিএইচর প্লান্ট সম্পর্কে বিস্তারিতবর্ণনাদেন হেড অব প্রজেক্ট ড.এএসএম সুমন।