ঢাকা, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

রিয়ালকে ৪ গোলে হারাল বার্সা

২০২৪ অক্টোবর ২৭ ১০:২৮:৩৯
রিয়ালকে ৪ গোলে হারাল বার্সা

ক্রীড়া ডেস্ক : এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের মাঠেই স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে লা লিগার টেবিলে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেল হান্সি ফ্লিকের দল বার্সেলোনা। মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোর উত্তাপ ছড়ানো লড়াইয়ে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর জোড়া গোল করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। একটি করে গোল লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার। চলতি মৌসুমে লিগে এখন পর্যন্ত দলের ৩৭ গোলের ২৫টিই করলেন এই তিন জন মিলে।

সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাসিকোয় গোলের কীর্তিও গড়লেন ইয়ামাল (১৭ বছর ১০৬ দিন)। এই হারে লা লিগায় রিয়ালের টানা ৪২ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় ছেদ পড়ল। লিগে সবশেষ তারা হেরেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ৩-১ গোলে।

আর বার্সেলোনা স্পেনের শীর্ষ লিগে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিজেদের কাছেই রাখল। এর্নেস্তো ভালভের্দের কোচিংয়ে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত টানা ৪৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা।

এবার ঘরের মাঠে পজেশনে পিছিয়ে থাকা রিয়াল গোলের জন্য ৯টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৪টি। বার্সেলোনার ১৫ শটের ৭টি ছিল লক্ষ্যে। দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ পেয়ে যান এমবাপে। ওয়ান-অন-ওয়ানে বাইরে মেরে বসেন তিনি। যদিও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ত্রয়োদশ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পান ইয়ামাল। মাঝমাঠ থেকে লেভানদোভস্কির ফ্লিকে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন স্প্যানিশ উইঙ্গার।

খেলার ১৫ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে এমবাপে পাস দেন দূরের পোস্টে, জুড বেলিংহ্যামের স্লাইড অবিশ্বাস্যভাবে গোললাইন থেকে এক হাতে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়া। অবশ্য অফসাইডের পতাকা ওঠে এবারও। বায়ার্ন ম্যাচের মতো এদিনও ‘হাই-লাইন’ ডিফেন্সের কৌশল বেছে নেয় বার্সেলোনা। এতে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েন রিয়ালের খেলোয়াড়রা।

২২তম মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার পাউ কুবার্সির বাধা এড়িয়ে বাইরে মেরে সুযোগ হারান ভিনিসিউস। ছয় মিনিট পর পেদ্রির জোরাল শট ঠেকান রেয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। ৩২তম মিনিটে লুকাস ভাসকেসের থ্রু বল বক্সে ঢুকে জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন এমবাপে। একটু পরই উবে যায় সেই আনন্দ, ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এ কারণেই প্রথমার্ধে গোলের জন্য রিয়ালের শট ছিল কেবল একটি, সেটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট।

খেলার ৬৪তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এমবাপে। ভিনিসিউসের পাসে ফরাসি তারকার সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, তার প্রচেষ্টা এগিয়ে এসে রুখে দেন পেনিয়া। পরের মিনিটে এমবাপে ফের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি এবারও। পরের মিনিটে অপরপ্রান্তে হ্যাটট্রিক হয়ে যেতে পারত লেভানদোভস্কির। বক্সে ঢুকে রাফিনিয়া বল দেন ফাঁকায় থাকা সতীর্থকে। এ যাত্রায় ভাগ্য সহায় ছিল না, পোস্টে মারেন সাবেক বায়ার্ন স্ট্রাইকার। দুই মিনিট পর তিনি আরেকটি সুযোগ হারান ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মেরে।

খেলার ৭৭ মিনিটে চমৎকার গোলে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ আরও কঠিন করে ফেলেন ইয়ামাল। রাফিনিয়ার পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। আর ৮৪তম মিনিটে রিয়ালের কফিনে চতুর্থ পেরেক ঠুকে দেন রাফিনিয়া।

এস/

পাঠকের মতামত:

খেলাধুলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধুলা - এর সব খবর



রে