আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণার মধ্যে অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল অবৈধ অভিবাসী সমস্যা সমাধান। নির্বাচনে জয়লাভের পর সেই প্রতিশ্রতি রাখতে চলেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

জানা গেছে, অভিবাসন বিষয়ক হক স্টিফেন মিলারকে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। যদিও সরাসরি আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোনয়ন ঘোষণা করেননি তিনি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং মিলারকে নিয়োগের জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি বলেন, এটি প্রেসিডেন্টের আরেকটি চমৎকার পছন্দ।

এর আগে, রোববার রাতে ট্রাম্প বলেন, তিনি টম হোমানকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দিচ্ছেন, যিনি বহিষ্কার এবং সীমান্ত নিরাপত্তা কঠোর করার দায়িত্বে থাকবেন।

মিলার এবং হোমান একসঙ্গে কাজ করবেন এমন কিছু আশা করা হচ্ছে, যা ট্রাম্প তার প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছিলেন—অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। তাদের নিয়োগ ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ে যে গুরুত্ব দেন, তার একটি ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা যাচ্ছে।

মিডিয়া সাক্ষাৎকারে মিলার বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে শিবিরে রাখা উচিত, যতক্ষণ না তারা দেশে ফেরত চলে যায়।

গত বছর নিউইয়র্ক টাইমসে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা ফেডারেল ক্ষমতার বিশাল সম্পদ ব্যবহার করে অভিবাসন বিষয়ে সবচেয়ে বড় অভিযান শুরু করব।

মিলারের একটি বিতর্কিত প্রস্তাব হলো জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার শেষ করা, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সব শিশু, তাদের পিতামাতার অবস্থান যাই হোক না কেন, নাগরিকত্ব পাওয়ার যে অধিকার রাখেন, তা বাতিল করা। এই প্রস্তাব ট্রাম্পও সমর্থন করেছেন।

মিলারের এই নিয়োগের জন্য সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। মিলার তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কনজারভেটিভ রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান মিচেল বাচম্যানের সহকর্মী হিসেবে এবং পরবর্তীতে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারপর তিনি ট্রাম্পের ২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণায় যোগ দেন।

তারিক/