ঢাকা, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

অবশেষে জট খুলেছে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য

২০২৪ নভেম্বর ১২ ২২:১৯:৩৪
অবশেষে জট খুলেছে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকায় মাহমুদুর রহমান নামে যে লাশটি দাফন করা হয়েছে, সেটি বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর।

অবশেষে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এক সময়ের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হারিছ চৌধুরীর রহস্য উন্মেচিত হলো।

আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সাভার থানার ওসি মো: জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেয়া হয়। রিপোর্টটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।’

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে এখনো আইনিভাবে কোনো তথ্য উপাত্ত তার কাছে আসেনি। আগামীকাল বুধবার তার আইনজীবী উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সাথে আলোচনা করে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করবেন বলেও জানান তিনি।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে তিনি আড়ালে চলে যান।

এরপর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হারিছ চৌধুরী নাম পাল্টে হয়ে যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমান। ২০২১ সালে তিনি মারা গেলে সেই মাহমুদুর রহমান পরিচয়েই তাকে ঢাকার সাভারে সমাহিত করা হয়।

কিন্তু তিনি যে হারিছ চৌধুরী সেটি প্রমাণ করা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

এর প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘তিন দিন আগেই আমরা ডিএনএ রিপোর্টটি আদালতে জমা দিয়েছি। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর লাশটি হারিছ চৌধুরীরই বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

গত ১৬ অক্টোবর সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে ডিএন পরীক্ষার জন্য মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি কবর থেকে তোলা হয়।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন।

হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইস্যু করা হয়।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে