বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহে বিগত একমাসে ব্যাংক খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এ সময়ে শেয়ারদর কমেছে শুধুমাত্র পূবালী ব্যাংকের। বিগত অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া নানামুখী উদ্যোগ আর ভালো ডিভিডেন্ড প্রদানের কারণেই ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি শেয়ারদরও নিয়মিত বাড়ছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এই খাতের উন্নতির
চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থা পরিচালনা এবং মুদ্রার যোগান ও ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতিতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগের ওপর জোর দেয়া হবে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি আগামী ২৬ জুলাই (বুধবার) ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে
দেশের পুঁজিবাজারে বিগত এক যুগ বা ১২ বছরে (২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার মূলধন বেড়েছে। শতাংশ হিসেবে যা ১ হাজার ১০০ শতাংশেরও বেশি। আলোচ্য সময়ে বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে ১৭৬টি। বাজারে নতুন নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মূলধন বাড়লেও কমেনি বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণ। বরং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ
এইচ কে জনি: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সার্ভিল্যান্স বিভাগ পুঁজিবাজারের অনিয়মরোধে তেমন কোনো কাজেই আসছে না। দাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় পূর্ণাঙ্গ ও অত্যাধুনিক সফটওয়্যার সংযোজনের পরও বাজার তদারকিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না বিএসইসির এ বিভাগ। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক স্বল্পমূলধনি ও লোকসানি শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে
কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রকৌশল খাতের লোকসানি এ কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। টানা লোকসান আর নো ডিভিডেন্ডের কারণে এ কোম্পানিতে যেকোন বিনিয়োগকারীর আগ্রহ না থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ কোম্পানিটির ক্ষেত্রে তার উল্টো চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। পূঞ্জীভূত লোকসানের পাশাপাশি নো ডিভিডেন্ড ও স্টক এক্সচেঞ্জের সতর্ক বার্তা কিংবা শোকজ কোন কিছুই যেন কাজে আসছে না। মাত্র ৫৯ দিনে এ শেয়ার দর মাত্র ৫৯ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। অর্থ্যাৎ গত ১৬ এপ্রিল কে অ্যান্ড কিউ’র শেয়ার দর ৩৮ টাকার ঘরে থাকলেও মাত্র ৫৯ কার্যদিবসের ব্যবধানে বুধবার তা ৭৩.৯০ টাকায় শেষলেনদেন হয়। আলোচ্য সময়ে
এইচ কে জনি: গত ১১ বছরে (২০০৬-০৭ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত) এ প্রতিষ্ঠানটি ৪২ হাজার ৪২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লোকসান গুনেছে। গত ১১ বছরের মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বিপিডিপি সর্বোচ্চ লোকসান গুনেছে। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকায়য় দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ৯০৪ কোটি ৯ লাখ টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৯৯৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৮২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে
দেশের ১০০ শীর্ষ ঋণখেলাপীর ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল অবদুল মুহিত। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তার পক্ষে জবাব দেন।
সংসদে দেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোর (সিআইবি) ডাটাবেজ রক্ষিত ২০১৭ সালের এপ্রিলমাস ভিত্তিক ঋণ তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কার্যত তফসিলি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের খেলাপিঋণের পরিমাণ
নানামুখী পদক্ষেপে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে
বিনিয়োগ গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও। একইসঙ্গে বেড়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেনসহ সব ধরনের সূচক।
দেশের অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থেই পুঁজিবাজারের বিনিয়োকারীদের আস্থা ধরে রাখা জরুরি। পুঁজিবাজারের এ গতি ধারা ধরে রাখতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ ওপরে জোর
সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমছে, এটা এখন নিশ্চিত প্রায়। কিন্তু সুদ কী পরিমাণ কমবে? এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে ১৫ জুলাইয়ের পরই। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমছে এমন ঘোষণায় বিক্রয় চাপ বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের মে মাসে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বেড়েছে ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকার। আলোচ্য মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৬০৫
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতির কারণে লোকসানের বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাগুলো। বছরের পর বছর ধরে লোকসানের থাকার কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থাগুলোর রাষ্ট্রীয় মালিকানা ছেড়ে দেয়ার দাবি উঠছে। কারণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীণ সংস্থাগুলো রাষ্ট্রের উপকারে আসার বদলে উল্টো রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৮ বছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ১১ সংস্থায় সরকারকে ১১ হাজার ৩৯৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে। বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হলে সরকারকে
পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৯০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যেখানে আইপিও’র মাধ্যমে ৪৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছিল কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আইপিও’র মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ কমেছে ৫৮ কোটি
নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৯০ শতাংশ বেশি শেয়ার কিনেছেরাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। অর্থ্যাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছরেআইসিবি ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার কিনেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, শেষ হতে চলা অর্থবছরে গত বুধবার পর্যন্ত আইসিবি ৩ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। অর্থাৎ এ অর্থবছরে সংস্থাটি নিট প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৩৮ কার্যদিবসে
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীণ সংস্থাগুলো রাষ্ট্রের উপকারে আসার বদলে উল্টো রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংকিং খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা আটকে আছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানার ১৯ প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মোট শ্রেণীবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ ২১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থমন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৪ বছরের ব্যবধানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জীবন বীমা করপোরেশনের তুলনায় বেসরকারি জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিমিয়াম আয় ১ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অর্থ্যাৎ ২০০২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ ১৪ বছরে যেখানে রাষ্ট্রীয় জীবন বীমার প্রিমিয়াম আয় ৪ হাজার কোটি ৩ লাখ টাকা; সেখানে বেসরকারী খাতের প্রিমিয়াম আয় ৫৬ হাজার ৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। মুলত আইনী দুর্বলতা, সরকারের নজরদারি, আইনের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা করপোরেশনের