ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
Sharenews24

ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় চলছে পানি ও শরবত বিতরণ

২০২৪ এপ্রিল ২৯ ২১:৫১:৪৬
ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় চলছে পানি ও শরবত বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এপ্রিল মাস এমনিতেই বাংলাদেশের জন্য উষ্ণতম মাস। চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরুতে গরমের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করতে হয়। তারমধ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। দেশজুড়ে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হয়েছে সোমবার। বৃষ্টির জন্য মানুষ আকুতি করছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখার জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, বৃষ্টির দেখা নেই।

ঢাকায় তাপমাত্রাও প্রচন্ড। তারপরও এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে রাজধানীবাসীদের বাইরে বেরুতে হয়। কাজকর্ম করতে হয়। ঢাকার রাস্তায় তীব্র তাপপ্রবাহে তৃষ্ণার্ত মানুষকে পানি ও শরবৎ সরবরাহ করছেন অনেকেই। নিজ উদ্যোগে বা কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এমন কার্যক্রম চোখে পড়ছে।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কে হিট স্ট্রোকের ঘটনার কথা খবরে আসছে। আর এসবকে কেন্দ্র করেই কিছু মানবিক মানুষ লেবুর শরবত ও পানির বোতল নিয়ে পথে নেমেছেন তারা এসব তুলে দিচ্ছেন সাধারণ পথচারীদের হাতে।

রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের নিকট ভ্যানে করে একদল তরুণ পানির বোতল ও শরবৎ পথচারীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। পথচারীরাও থেমে শরবৎ পান করছেন। কেউ কেউ পানির বোতল সাথে করে নিয়ে চলে যাচ্ছেন।

একই দৃশ্য দেখা গেল তেজগাঁও সাতরাস্তার কাছে। এখানে আরো বড় পরিসরে পানির বোতল পথচারীদের তুলে দিচ্ছেন তরুণেরা। এটি অবশ্য একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিতরণ করা হচ্ছিল।

তাপমাত্রার গতিবিধি সম্পর্কে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ডেটা সংরক্ষণ রাখা আছে। চলতি মৌসুমের আগের ৭৫ বছরের মধ্যে টানা সর্বোচ্চ ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে চলে ২০২৩ সালে। ওই বছরের এপ্রিলের শেষ ১৮ দিন ও মে মাসের শুরুর ৫ দিন দাবদাহ ছিল দেশে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল গত ২৭ দিনের তাপপ্রবাহের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কিছু কিছু অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছিল, তাপমাত্রার পরিমাণও (তুলনামূলক) ছিল কম। ১১ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে বেড়ে মাঝারি রূপ নেয় এবং যোগ হয়েছে কিছু অঞ্চল। ১৬ তারিখ থেকে তীব্রতা বেড়ে ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক অঞ্চলে তা বিস্তৃতি লাভ করে এবং তাপমাত্রার পরিমাণ তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়।

এর মধ্যে ২০ এপ্রিল যশোরে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ওঠে। আর আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে।

বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, গত বছর ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এবারেও একই তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়।

শেয়ারনিউজ, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে