ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি ৩ যুবকের

২০২৪ জুন ১৪ ১৬:১৪:৩৮
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি ৩ যুবকের

প্রবাস ডেস্ক : সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের আফিফ শহরের বিশ্ব রোডে দুই মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষের এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই ৩ যুবকের বাড়ি চাঁদপুরে। রাতে তাদের পরিবারের মাঝে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পরিবারের দাবি, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দ্রুত তাদের মৃতদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হোক।

নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের হাইমচরের কমলাপুর গ্রামের রিফাত ও দক্ষিণ আলগী গ্রামের সাব্বির এবং ফরিদগঞ্জের কনট্রেকটার সবুজ হোসেন।

হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মাস্টার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তার ইউনিয়নের দুইজন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার একজনসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার সকালে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোয় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। চার বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি দেওয়া রিফাতের ঈদের পর দেশে ফেরার কথা ছিল। রিফাত আসবে ঠিকই, তবে জীবিত নয়, মৃত। এমন হাহাকারে তার বোন ও বাবা-মা কাঁদছেন।

রিফাতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছেলের বাসায় আসার কথা। নতুন আকামা করবে। কত স্বপ্ন ছিল। সহ শেষ হয়ে গেল। আমরা কিভাবে আমার ছেলের দুঃখ সহ্য করব?

দুর্ঘটনায় নিহত আরেক যুবক সাব্বির হোসেন। সে রিফাতের চাচাতো ভাই। তারা ঠিকাদার সবুজ হোসেনের সঙ্গে নির্মাণ কাজ করত। সাব্বিরের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কোন টাকা পয়সা চাই না। ছেলেটারে দেখতে চাই। নিজের হাতে দাফন করবো।’

সবুজ হোসেন দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে সৌদি আরবে নেয়। তিনি দীর্ঘ দিন সৌদি প্রবাসী। তিনি নিজেই গাড়ী ড্রাইভ করে বাসায় ফিরছিলেন। পথে দুর্ঘটনায় কবলিত হন। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিশ কাটাখালী গ্রামে। মা-বাবা ও চার ভাই -বোনের সংসার। মৃত্যুর খবরে চলছে শোকের মাতম।

সবুজের বাবা জামাল ফকির বলেন, ‘১৮ বছর ছেলে বিদেশ করে। দুই নাতিন আর বউমাকে নিয়ে গেছে। এখন তো আমাকে পরিবারের আলোর প্রদীপ আর নেই। কে দেখাশোনা করবে এতো বড় পরিবারের।’

সরকারের কাছে রিফাত, সাব্বির ও সবুজের পরিবারের শেষ আকুতি তাদের মৃতদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করার।

এই বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তিশা বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে যদি সহযোগিতা চায়, তাহলে তাদের মৃতদেহ দেশে আনার জন‍্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ারনিউজ, ১৪ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে