ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

জুয়া কোম্পানির প্রচারে তারকাদের সতর্ক করলেন পলক

২০২৪ জুন ১৪ ২৩:৫১:৩০
জুয়া কোম্পানির প্রচারে তারকাদের সতর্ক করলেন পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি ও পরীমণি সম্প্রতি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এমন দুটি ভিন্ন সংগঠনের প্রচারণায় তাদের দেখা গেছে। এই তালিকায় বুবলির নামও এসেছে। জুয়ার সঙ্গে শোবিজ তারকাদের সংশ্লিষ্টতা শিল্পী হিসেবে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

জুয়া কোম্পানির প্রচারে যেসব তারকা যুক্ত হয়েছেন, তাদের সতর্ক করার কথা বলেছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারসহ (এনটিএমসি) সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৈঠকে জুয়া ও বেটিং সাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, জুয়া ও বেটিং সাইট বন্ধে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। জাতির পিতা বাহাত্তরের সংবিধানে জুয়া নিষিদ্ধ করে গেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংবিধান দেশের সবচেয়ে বড় আইন। এরপর আর কোনো আইনের দরকার হয় না। দেশের গ্রাম পর্যন্ত অনলাইন জুয়া বেটিং ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে।

তিনি বলেন, যেসব তারকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের সতর্ক করতে হবে। এরপরও তারা অংশ নিলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বৈঠকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান অনলাইনে জুয়া ও বেটিং সাইটের তথ্য উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, দেশের প্রতিষ্ঠিত তারকাদেরও জুয়া ও বেটিংয়ের প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে তারকারা নিজেরাই বেটিং সাইটের বিজ্ঞাপনে অংশ নিচ্ছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে অনুমতি না নিয়েই তাদের মুখ বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশীদ জানান, জুয়া ও বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের প্রচলিত আইনে যেকোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছে।

তিনি বলেন, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে জুয়াপ্রতিষ্ঠানগুলো দিচ্ছে বিভিন্ন লোভনীয় অফার। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে শোবিজ তারকাদের। তাদের জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এই টাকা ভার্চুয়াল মুদ্রায় রূপান্তরিত হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে।

মোর্শেদ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে