ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
Sharenews24

সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সমাধানের চেষ্টায় সরকার, বিএনপি বলছে ‘দাসসুলভ মনোভাব’

২০২৪ জুন ১৫ ১৭:৪৩:৪৮
সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সমাধানের চেষ্টায় সরকার, বিএনপি বলছে ‘দাসসুলভ মনোভাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গোলাগুলি দেশের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুদ্ধকে পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে ও চলবে। তবে আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়া হবে।

অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের নীরবতা দাসসুলভ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার পথে মিয়ানমার থেকে গুলি করা হচ্ছে, সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে কিন্তু সরকার এখনো নীরব। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই এমন হচ্ছে। বাংলাদশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে সরকার।

এই দুই নেতার মধ্যে ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে, মির্জা আলমগীরও শনিবার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন।

মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট আছে। তাদের ৫৪টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে, মতানৈক্য নেই। তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটে আমরা যদি ভুক্তভোগী হই (সাফার করি) তাহলে সেটা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। সেখানে সরকারে আছে সামরিক শাসক। আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং যুদ্ধকে পরিহার করে সেটাই করে যাব। তবে আমরা আক্রান্ত হলে সে আক্রমণের জবাব দেব। আমাদের খাটো করে দেখার কিছু নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।

রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের ওপর জেঁকে বসেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। এজন্য তাকে মানবতার মা বলা হয়। এখন বিশ্বের বড় বড় দেশ ও সংগঠনগুলো এজন্য আমাদের প্রশংসা করে, লিপ সার্ভিস দেয়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে যে সাহায্য তার পরিমাণ অনেক কমে গেছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চলমান সংকটে আমরা চিন্তায় আছি। ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো যারা এ সংকট নিয়ে কথা বলে। আমাদের লিভ সার্ভিসের দরকার নেই। দরকার আমাদের কাঁধ থেকে রোহিঙ্গাদের বোঝা নামিয়ে ফেলা।

তিনি আরো বলেন, আমরা সার্বিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন।

প্রসঙ্গত, হঠাৎ করে গত কয়েকদিন যাবত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করা ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে। যে কারণে কোনো নৌযান সেন্টমার্টিনে যেতে পারছে না। গত ৯ দিন ধরে চলছে এই পরিস্থিতি।

এই অবস্থায় সেন্টমার্টিনে ১০ হাজারের মতো অধিবাসী খাদ্য ও নিত্যপণ্য সংকটে পড়েছেন। এমন সংকট থেকে মুক্তি দিতে শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজে করে দ্বীপটিতে খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়।

মোর্শেদ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে