ঢাকা, রবিবার, ৫ মে, ২০২৪
Sharenews24

আজ থেকে বিএটিবিসি’র ফ্লোরবিহীন লেনদেন

২০২৪ মার্চ ০৪ ০৭:১২:৫৪
আজ থেকে বিএটিবিসি’র ফ্লোরবিহীন লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) ফ্লোর প্রাইস আজ থেকে আর থাকছে না। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হচ্ছে।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানি বাদে বাকি সব সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নতুন করে আরো ২৩ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়।

তৃতীয় দফায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরো ছয় কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়। এখন কেবল বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস বহাল আছে। রেকর্ড ডেট শেষে রোববার (০৩ মার্চ) গ্রামীণফোনের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হয়েছে। এছাড়া রবি আজিয়াটার আসন্ন রেকর্ড ডেট ১৮ মার্চ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকবে।

বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা কমিশনের আদেশ কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। শেয়ারদর ২০০ টাকার ওপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮.৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি ও ১ হাজার টাকা পর্যন্ত শেয়ারদর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭.৫ শতাংশ। শেয়ারদর ১ হাজার টাকার বেশি ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬.২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। শেয়ারদর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে ও ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর শেয়ারদর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩.৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে বিএটিবিসি পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা।

এদিকে ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। রেকর্ড ডেট ছিল গতকাল।

কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদী ‘‌ট্রিপল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘‌এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিকতার ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

সমাপ্ত ২০২২ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বিএটিবিসির পর্ষদ। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৭ টাকা ৭২ পয়সা।

১৯৭৭ সালে বিএটিবিসি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধনও একই। রির্জাভে রয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি। এর মধ্যে ৭২.৯১ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ০. ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশ সরকার, ১৩.০৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ৬.০৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৭.৩৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস হচ্ছে ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সা।

শেয়ারনিউজ, ০৪ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে