ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
Sharenews24

নিউইয়র্কে সেরা ১০০ জনের তালিকায় ৩ বাংলাদেশি

২০২৪ মে ১৮ ২১:৫৪:৪৬
নিউইয়র্কে সেরা ১০০ জনের তালিকায় ৩ বাংলাদেশি

প্রবাস ডেস্ক : বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্ক শহরের ৮০০ জন ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে রাজনীতি-প্রশাসন-সামাজিক কাজে এই বছরের সেরা ১০০ এশিয়ানদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৩ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান।

তারা হলেন-নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের ইতিহাসে প্রথম মুসলমান নারী এবং প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ (৩৩), শ্রমিক নেতা মাফ মিসবাহ উদ্দিন ও তানভির চৌধুরী (২২)।

শাহানা হানিফ

নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রুকলীনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকায় চট্টগ্রাম সমিতির নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদ হানিফের কন্যা শাহানা হানিফ।

তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কে। তবে তিনি প্রাঞ্জল ভাষায় বাংলা উচ্চারণ ও কথা বলেন। পুরো সমাজে শাহানা একটি বিশেষ অবস্থানের অধিকারী। তিনি ১৭ তম স্থান অধিকার করেছেন।

অভিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়ে আপসহীন, শাহানা ডেমোক্রেটিক পার্টির তৃণমূল সংগঠকদের একজন হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছেন।

মাফ মিসবাহ উদ্দিন

অপরদিকে, ৩৪ ক্রমিকে রয়েছেন নিউইয়র্ক সিটিতে সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়নের (ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ৩৭) ট্রেজারার এবং ২০০০ সাল থেকে এই সিটির অ্যাকাউন্ট্যান্ট, স্ট্যাটিসটিক্স অ্যান্ড এ্যাকচুয়ারিজ ইউনিয়নের (লোকাল১৪০৭) প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসা নোয়াখালীর সন্তান মাফ মিসবাহ উদ্দিন।

তার নেতৃত্বে আমেরিকায় গড়ে ওঠা ‘এলায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান লেবার’ তথা অ্যাসাল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন কংগ্রেস, স্টেট সিনেট, স্টেট অ্যাসেম্বলি, সিটি কাউন্সিলে বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশিয়ান প্রার্থীদের বিজয়ে অপরিসীম ভূমিকার পাশাপাশি দক্ষিণ বাংলাদেশিদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে উজ্জল দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

তানভির চৌধুরী

তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সী বাংলাদেশি আমেরিকান তানভির চৌধুরী রয়েছেন ৯৭ ক্রমিকে। ব্রঙ্কসের বাসিন্দা তানভির লেখাপড়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সাথে জড়িত হয়ে ইতিমধ্যেই মূলধারা ও প্রশাসনে অনেকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।

অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩ এর বিশেষ নির্বাচনে বিজয়ী টম সোউজির ভোট ব্যাংকে বাংলাদেশি তথা দক্ষিণ এশিয়ানদের জোরালোভাবে যুক্ত করতে অপরিসীম ভূমিকা পালন করেছেন।

তার নেতৃত্বে কাজ করছে ‘দ্য সী ব্লু নিউইয়র্ক’ নামক একটি সংগঠন। এটি মূলত অভিবাসী সমাজ ও নতুন প্রজন্মের ভোটারকে মার্কিন রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততায় কাজ করছে।

উল্লেখ্য, 'সিটি অ্যান্ড স্টেট নিউইয়র্ক' নামে একটি সংস্থা সম্প্রতি 'দ্য ২০২৪ পাওয়ার অফ ডাইভারসিটি: এশিয়ান ১০০' তালিকা প্রকাশ করেছে। রাজনীতি, সমাজ, সম্প্রদায় এবং বহুজাতিক সমাজের সামগ্রিক কল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিদের উপর গভীর পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার ভিত্তিতে ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির এই তালিকায় কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান জেনিফার রাজকুমারকে এশিয়ান-আমেরিকান নেতাদের নাম দেওয়া হয়েছে।

এটিও উল্লেখ করা উচিত যে নিউইয়র্ক সিটিতে ৮০০ জন ভাষা-ভাষীর মধ্যে নবম বৃহত্তম হল বাংলা ভাষা বা বাঙালিরা। সংখ্যার দিক থেকে ৩ লাখের বেশি বাংলাভাষী বসবাস করলেও নিজেদের মধ্যে ঐক্যের ভয়াবহ সংকটের কারণে মার্কিন রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনো দেখা যায়নি। আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে সম্প্রদায়ভিত্তিক অনৈক্য নিরসন হবে বলে আশা করছেন সবাই।

শেয়ারনিউজ, ১৮ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে