ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
Sharenews24

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা

২০২৪ মে ১৯ ২০:২৬:০০
মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেক : আসন্ন বাজেটে মোবাইল ব্যবহারের খরচের বোঝা পড়ছে গ্রাহকের কাঁধে। বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটের দাম প্রায় ১ হাজার টাকা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) ওয়েবসাইট অনুসারে, দেশে ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারী রয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার।

বর্তমানে গ্রাহকদের মোবাইলে কথা বলার জন্য ১০০ টাকার রিচার্জে ৩৩ টাকার বেশি ট্যাক্স দিতে হয়। ইন্টারনেটেও একই পরিমাণ ট্যাক্স দিতে হয়। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য প্রতি ১০০ টাকার জন্য যোগ হবে প্রায় ৬ টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বাজেটে উভয় ক্ষেত্রেই সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কর বাড়বে অতিরিক্ত ৫.৭৫ টাকা। এরফলে ১০০ টাকার মোবাইল পরিষেবাতে মোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ হবে।

মোবাইল অপারেটররা বলছেন, সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। করের পরিবর্তে ডেটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব সংগ্রহ করা যেতে পারে। দেশের একজন গ্রাহক প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডেটা ব্যবহার করেন; ভারতে এর পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।

বর্তমানে ১৭টি কোম্পানিকে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে ৭.৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয়। বিক্রির পয়েন্টে ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। আগামী বাজেটে ভ্যাট ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক বলেন, আমার মনে হয় প্রতিটি পণ্যের দাম ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

যদিও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, ইন্টারনেটের দাম ও ভ্যাট কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।

শেয়ারনিউজ, ১৯ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে