ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
Sharenews24

সরকারি ভাতা আনতে গিয়ে জানলেন তারা মৃত!

২০২৪ মে ২৭ ১৩:৩৫:৪৩
সরকারি ভাতা আনতে গিয়ে জানলেন তারা মৃত!

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে চার বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী পেনশনভোগীকে মৃত দেখিয়ে তাদের স্থলে অন্য চারজনকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মোঃ এনামুল হক শনিবার এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে এনামুল উল্লেখ করেন, ২০১৮ সাল থেকে তিনি নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন। ২০২৩ সালের শেষের দিকে কয়েক মাস ভাতা না পাওয়ায় ভাতার বই নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যান।

সেখানে গিয়ে ভাতা না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কার্যালয় থেকে বলা হয়, এই কার্ডের মালিক তো মারা গেছেন, তিনি আর ভাতা পাবেন না।

এনামুল তখন বলেন, এই কার্ডের মালিক আমি স্বয়ং আপনার সামনে জীবিত দাঁড়িয়ে, আমি মারা গেলাম কীভাবে? তখন বলা হয়েছে, আপনি ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করুন।

জানা গেছে, বিগত ২৫ অক্টোবর ২০২৩ সালে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বয়স্ক ভাতা ১৩৮ জন, বিধবা ২২ জন ও অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ১০ জনসহ ১৭০ জন মৃত ভাতাভোগী পাওয়া যাওয়ায় তাদের স্থলে নতুন সমান সংখ্যক ভাতাভোগীর তালিকা তৈরি করে তা প্রতিস্থাপনের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এছাড়া ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে ৬ নম্বর ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ূম স্বাক্ষরিত ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে প্রদত্ত প্রত্যায়নপত্রে এনামুল হক ৫ এপ্রিল ২০২১ সালে মৃত্যুবরণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়।

গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ব্যক্তির নামে মৃত্যু সনদ দিতে বলা হলে আমরা তা দিয়ে থাকি। পরে জানতে পারি তারা বেঁচে আছে। এরপর ভাতা তালিকায় তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি নতুন প্রশংসাপত্রের অনুরোধ করা হয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক সময় কিছু সদস্য অবৈধ লেনদেনে লিপ্ত হয়ে অন্যদের মৃত তালিকাভুক্ত করে। এখানে সমাজসেবা অফিসের কোনো দায়িত্ব নেই। মৃত দেখিয়ে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল, তারা আবার ভাতা আদায়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম জানান, তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ারনিউজ, ২৭ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে