ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
Sharenews24

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বেনজীর ও আজিজের দুর্নীতি প্রসঙ্গ

২০২৪ মে ২৯ ১৩:৫৯:৫০
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বেনজীর ও আজিজের দুর্নীতি প্রসঙ্গ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের। দেশে-বিদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা প্রচন্ড দাপুটের এই দুই কর্মকর্তার বিষয় নিয়ে এবার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (২৮ মে) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (ব়্যাব) সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রাখার বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়, ডয়েচে ভেলে, সাডেচ সায়েতিং এবং নেত্র নিউজের রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (ব়্যাব) বর্তমান এবং সাবেক সদস্যরা নিয়মিতভাবেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পাচ্ছেন। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ব়্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই বাহিনীর সদস্যদের যেভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে, সে বিষয়ে আপনারা কতটা উদ্বিগ্ন?

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জবাবে বলেন, এই রিপোর্টগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। জাতিসংঘের যে যথাযথ নীতিমালা রয়েছে, সেটা মেনে শান্তিরক্ষা মিশনে যারা নিয়োগ পাবে, তারা যেন মানবাধিকারের সুরক্ষার পক্ষে থাকে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসারে সংস্থাটি চায় শান্তিরক্ষা মিশনে যেসব দেশ তাদের পুলিশ এবং সেনাসদস্যদের নিয়োগ দেবে। তবে নিয়োগকৃতরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত নয়।

অপর এক প্রশ্নে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের বিষয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এজেন্সি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্যকোনো দেশে এই পুলিশপ্রধানের কোনো সম্পদের খোঁজ পেয়েছে কি না? যদি তার সম্পদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কী সেগুলো জব্দ করেছে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার প্রথম প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলছি, আমার কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো কিছু নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- যেসব অভিযোগ এবং মিডিয়া রিপোর্টের তথ্যসমূহ আপনি এখানে তুলে ধরেছেন আমরা সে বিষয়ে অবগত।

শেয়ারনিউজ, ২৯ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে