ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Sharenews24

পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য চুরি করে এসবি পরিচযয়ে জালিয়াতি

২০২৪ মে ০৬ ২১:২৭:৪০
পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য চুরি করে এসবি পরিচযয়ে জালিয়াতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গোপনে পাসপোর্ট অফিসের তথ্য চুরি করে এবং পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবি পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করেছিল একটি চক্র। এ কাজে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা ও আনসাররা অংশ নেন। দলটি পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ডেকে এসবির সাথে পরিচয় করিয়ে দিত। তাদের প্রতারণার পরিকল্পনা রাজধানীসহ বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে ছড়িয়ে পড়েছে।

অবশেষে চক্রটির নয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- কাজী মো. বেলাল হোসেন (৩৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৩), মো. আল-আমিন গাজী (২৭), হাসান আহম্মেদ (২৯), মো. সোহাগ আলম, মো. হোসাইন মোল্লা, নুরুজ্জামান মিয়া, মামুনুর রহমান ও মো. রাসেল ইসলাম।

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি পুলিশ পরিচয়ে ট্রুকলারে নম্বর সেইভ করে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের তথ্য নিয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণা করে আসছিল। তারা এসবির যে কর্মকর্তা তদন্ত করবেন, তার ছবি ক্লোন করে তা মোবাইল নম্বরে যুক্ত করতে। পরে তারা পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের কল করত। দ্রুত পাসপোর্ট পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা চাইত। অনেকে সহজে পাসপোর্ট পেতে তাদের টাকা দিতেন।

হারুন বলেন, এই প্রতারক চক্র পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর, পিয়ন ও আনসার সদস্যের যোগসাজসে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ডেলিভারি এবং আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয় দিত। ফোন করে প্রথমে আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি, বিদ্যুৎ বিলের কপি) হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলত এবং পরে প্রতারণা করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করত।

ডিবি প্রধান বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা সবুজবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেফতার করে।

হারুন আর রশীদ বলেন, গ্রেফতার আসামিরা পাসপোর্ট অফিসে অসাধু কর্মচারী, পিয়ন, আনসার সদস্য, কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করত। পরে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিত। পুলিশের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশনের কথা বলে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করত।

তিনি আরো বলেন, তারা পুলিশের ছবি ও নাম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিম সংগ্রহ করে এই প্রতারণা করত। অন্যের নামে বিকাশ/নগদ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট যুক্ত সিম সংগ্রহ করে প্রতারণার অর্থ লেনদেন করত।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার আসামি বেলাল হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। গ্রেফতার জসিম উদ্দিনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০৬ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে