ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
Sharenews24

উৎপাদনের অপেক্ষায় সামিট ও ইউনিক গ্রুপের দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র

২০২৪ জানুয়ারি ০৬ ১৫:০৭:১৭
উৎপাদনের অপেক্ষায় সামিট ও ইউনিক গ্রুপের দুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে গ্যাসভিত্তিক প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সামিট ও ইউনিক গ্রুপ। প্রায় ছয় মাস আগে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রস্তুত হলেও এখন পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহের অভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারেনি। গ্যাস সরবরাহ পেলেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন শুরু হবে।

কোম্পানি দুটি সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে গত সপ্তাহে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেঘনাঘাটে গ্যাসভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সামিট পাওয়ারের চেয়ার‌ম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান নিজেও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সাক্ষাৎকালে তিনি মেঘনাঘাটে সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর (সিওডি) জন্য বিপিডিবির কেন্দ্রগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত গ্যাসের বাইরে অতিরিক্ত সরবরাহ চেয়েছেন। যদিও জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের নির্ধারিতের বাইরে অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয়। কেবল বিপিডিবিকে সরবরাহ গ্যাসের মধ্যে রেশনিং করা সম্ভব হলে সামিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে সরবরাহ করা যেতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্যাসের সংস্থান না থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে এখনই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আনতে অনিচ্ছুক তারা। নতুন পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি চালু করার বিষয়ে এক ধরনের অনানুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আগেই ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, মেঘনাঘাটে গ্যাস সরবরাহের জন্য বর্তমানে নতুন একটি গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এজন্য কুমিল্লার বাখরাবাদ থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাট হয়ে হরিপুর পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি পাইপলাইন নির্মাণে গৃহীত প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। ২০২১ সালে শুরু হয়ে চলতি বছরের জুনে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। যদিও জিটিসিএলের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৩ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি এখনো শূন্য।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সামিট গ্রুপ নির্মাণ করেছে ৫৮৩ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ইউনিক গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সক্ষমতা ৫৮৪ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি ২০২৩ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যেই পুরোদমে চালু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এর পরও কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্যাস সরবরাহ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিপিডিবি ও পেট্রোবাংলা।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটি পূর্ণ সক্ষমতায় চালাতে হলে প্রতিদিন ১৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নেই। তার ওপর নতুন এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি এখন জ্বালানি বিভাগ ও বিপিডিবির মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পেট্রোবাংলার গ্যাস উৎপাদন প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ২ হাজার ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট। আর বিপিডিবির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। যদিও বরাদ্দকৃত গ্যাসের মধ্যে পেট্রোবাংলা এখন গ্যাস সরবরাহ দিতে পারছে ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট।

বছরের প্রথম সপ্তাহে শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১২ খবর

সামিট ও ইউনিকের বিদ্যুৎ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটির যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়েছে দুই মাস আগে। এজন্য প্রতিটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গড়ে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন ছিল। সেটির সরবরাহ তারা পেয়েছে। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত হলে রিলায়াবিলিটি টেস্ট শুরু হবে। তারপর কেন্দ্রগুলো বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যেতে পারবে।

শেয়ারনিউজ, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে