ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
Sharenews24

বিদ্যুতায়িত নয়, শিশু মাইশাকে গলাটিপে হত্যা করেছিল মা

২০২৪ মে ০৬ ১৬:০৬:০৪
বিদ্যুতায়িত নয়, শিশু মাইশাকে গলাটিপে হত্যা করেছিল মা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ভোগাইলবাগদী গ্রামের শিশু মাইশা খাতুন (৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়নি। মা পপি খাতুন (২৫) নিজেই মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পপি ইতিমধ্যেই মাইশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর পপি তার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মাইশাকে হত্যা করে।

সোমবার (০৬ মে) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান এই তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, আলমডাঙ্গার ভোগাইলবাগদী গ্রামে মায়ের সঙ্গে থাকতেন মাইশা। ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে মাইশার মা পপি খাতুনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। এই সময় মাইশার গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার বাঁধা ছিল।

পপি প্রতিবেশীদের জানান, তার মেয়ে মাইশা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। পরে প্রতিবেশীরা মাইশাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মাইশাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া মাইশার ঘাড়ে দাগের কথা পুলিশকে জানান চিকিৎসকরা।

ফয়জুর রহমান জানান, পুলিশ লাশের অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করেছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মাইশাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা হয়নি, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

পরে মাইশার মামা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ মে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। রোববার পপি খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফয়জুর রহমান জানান, গ্রেফতারের পর পপি খাতুন আলমডাঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

হত্যার কারণ সম্পর্কে ফয়জুর রহমান বলেন, পপি ও তার স্বামীর বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মাইশার ভবিষ্যত কঠিন হবে, তাই তার মা মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।

শেয়ারনিউজ, ০৬ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে