ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
Sharenews24

তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরেছে আট বাংলাদেশির মরদেহ

২০২৪ মে ০২ ১৯:২৯:১৩
তিউনিসিয়া থেকে দেশে ফিরেছে আট বাংলাদেশির মরদেহ

প্রবাস ডেস্ক : ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ আজ বিকেলে দেশে ফিরেছে।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, মৃতদেহ বহনকারী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার মিশন কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ দূতাবাস ও লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তিউনিসিয়ার জারবা ও গ্যাবেস হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে সংরক্ষিত মৃতদেহগুলো পরিদর্শন করে।

এরপর দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় সম্ভাব্য মৃত আটজন বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ পূর্বক বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে দূতাবাস হতে নিহত বাংলাদেশিদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট (আউটপাস) ইস্যু করে মৃতদেহগুলো দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।

সেই লক্ষ্যে দূতাবাস হতে তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় মিউনিসিপালিটির সাথে নিরলসভাবে কাজ করে পর্যায়ক্রমে মৃতদেহগুলোর সুরতহাল, মৃত্যুসনদ ও মেডিকেল সার্টিফিকেট ইস্যুসহ অন্যান্য সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

অন্যদিকে বর্ণিত মৃতদেহগুলো দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার পর দূতাবাসের পক্ষে মৃতদেহগুলো দেশে প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে।

নিহত আট বাংলাদেশি হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির নয়ন বিশ্বাস, একই উপজেলার খালিয়ার মামুন সেখ ও সজল, একই উপজেলার বাজিতপুর নতুনবাজারের কাজি সজীব ও কবিরাজপুরের কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার কবলে পরা নৌকাটিতে চালকসহ মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

শেয়ারনিউজ, ০২ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে