ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪
Sharenews24

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করলেন সাবেক মন্ত্রী : দেশবাসীকে দেখানো হলো বিচার

২০২৪ মে ০৪ ২০:০১:০২
স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করলেন সাবেক মন্ত্রী : দেশবাসীকে দেখানো হলো বিচার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাজাখস্তানের সাবেক এক মন্ত্রীকে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। সারা দেশে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে বিচারের এই ঘটনাটি।

কেউ কেউ এটিকে রাষ্ট্রপতি কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন। কারণ, একটি ন্যায্য এবং আরও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

২০২৩ সালের ০৯ নভেম্বর কাজাখস্তানের একটি রেস্তোরাঁয় ঘটে হত্যাকাণ্ডটি। টানা আট ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী কুয়ানদিক বিশিমবায়েভ। আর পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়।

এক প্রতিবেদনে আলজাজিরার জানিয়েছে, কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির একটি রেস্তোরাঁয় সাবেক অর্থমন্ত্রী বিশিমবায়েভের স্ত্রী ৩১ বছর বয়সী সালতানাত নুকেনোভার মরদেহ পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁটি বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের মালিকানাধীন।

জানা যায়, মারা যাওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রী সেখানে একদিন সময় কাটিয়েছিলেন। রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজে সালতানাতের সঙ্গে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা গেছে বিশিমবায়েভকে।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়ার মামলা আদালতে গড়ানোর পর বিচারকের সামনে ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ পেশ করা হয়। সালতানাতকে তার স্বামীর মারধরের আট ঘণ্টার দীর্ঘ ভিডিও আদালকে দেখানো হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, ৪৪ বছর বয়সী কাজাখ অর্থমন্ত্রী বিশিমবায়েভ তার স্ত্রীকে বারবার লাথি ও ঘুষি মারছেন। ভিডিওতে স্ত্রীকে চুল ধরে টেনে অন্য একটি রুমেও নিয়ে যেতে দেখা যায়।

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে শৌচালয়ে গিয়ে লুকিয়েছিলেন সালতানাত। দরজা ভেঙে তাকে সেখান থেকে বের করে এনে মারধর শুরু করেন সাবেক মন্ত্রী।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সালতানাত। কয়েক ঘণ্টা ধরে তিনি অজ্ঞান ছিলেন। ১২ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল কর্মীরা। তারা সালতানাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, সালতানাত মস্তিষ্কের আঘাতের কারণে মারা গেছেন। নাকের হাড় ভেঙে যায় তার। এ ছাড়া তার মুখে, মাথায়, বাহু ও হাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি লাইভ দেখানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অনেকে বিশিমবায়েভকে দেশের ধনী শাসক গোষ্ঠীর একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে দেখেন। দোষী সাব্যস্ত হলেও তিনি কোনোভাবে তার শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারেন।

এর আগেও ঘুষের অভিযোগে ২০১৭ সালে বিশিমবায়েভকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

শেয়ারনিউজ, ০৪ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে