ঢাকা, বুধবার, ৮ মে, ২০২৪
Sharenews24

ম্যাকডি ও এনগালফিং ইন্ডিকেটরে বাই সিগনাল ৭ কোম্পানির

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৪:৪০:৩২
ম্যাকডি ও এনগালফিং ইন্ডিকেটরে বাই সিগনাল ৭ কোম্পানির

বুলবুল হায়দার :সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) MACD বা ম্যাকডি এবং বুলিশ এনগালফিং বা Bullish Engulfing ইন্ডিকেটর ৭টি কোম্পানির শেয়ারে বাই সিগনাল দিয়েছে। স্টকনাও সূত্রে বাই সিগনালের এই তথ্য জানা গেছে।

বাই সিগনাল দেওয়া কোম্পানিগুলো হলো- ব্যাংক খাতের এনবিএল; লিজিং খাতের ডিবিএইচ, জিএসপি ফাইন্যান্স ও আপিডিসি; বস্ত্র খাতের মতিন স্পিনিং, এমএল ডাইং, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ, কাট্টলী টেক্সটাইল ও দুলামিয়া কটন; ইন্সুরেন্স খাতের প্রাইম ইন্সুরেন্স, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, ফনিক্স ইন্সুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ও প্রভাতী লাইফ ইন্সুরেন্স; প্রকৌশল খাতের ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ও কেএন্ডকিউ; ফার্মা খাতের এসিআই ও বিকন ফার্মা; জ্বালানি খাতের ডরিন পাওয়ার; মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বিএলফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইবিএলএনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং এসএমই মার্কেটের বিডি পেইন্টস।

এদিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেনও আগের দিনগুলোর তুলনায় বড় ভলিউমে লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে ফ্লোর প্রাইস থেকে সবচেয়ে বেশি পতনে থাকা মতিন স্পিনিং ও এমএল ডাইংয়ের শেয়ার অনেকদিন পর বড় ভলিউমে লেনদেন হতে দেখা গেছে।

কেন ফ্লোর প্রাইসের ৩০% নিচে চার কোম্পানির শেয়ার

-----------------------------------------------------

MACD বা ম্যাকডি ইন্ডিকেটর কি?

টেকনিক্যাল এনালাইসিসে এমএসিডি বা ম্যাকডি (Moving Average Convergence-Divergence or MACD) একটি অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর। এই ইন্ডিকেটরে মুভিং এভারেজ ব্যবহার করা হয়। সূচক বা কোনো শেয়ার নতুন করে বুলিশ বা বিয়ারিশ ট্রেন্ডে প্রবেশ করার সময় অথবা ট্রেন্ডের কোন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলে তা MACD বা ম্যাকডি’র মাধ্যমে জানা যায়। MACD ইন্ডিকেটরের সেটিংসে সাধারণত তিনটি সংখ্যা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা হয়-

• প্রথমটি হল সময়ের দ্রুততম মুভিং এভারেজ;

• দ্বিতয়টি হল সময়ের ধীর গতির মুভিং এভারেজ;

• তৃতীয়টি হল একটি বার চার্ট বা Histogram যেটি দ্রুত এবং ধীর গতির মুভিং এভারেজের পার্থক্য।

উদাহরনস্বরূপ, যদি আপনার মুভিং এভারেজ টুলে “12, 26, 9” সেটিংস দেয়া থাকে, তাহলে-

• 12 বঝাবে, বিগত ১২ বার এর দ্রুততম (Faster) মুভিং এভারেজ।

• 26 বুঝাবে, বিগত ২৬ বার এর ধীর গতির (Slower) মুভিং এভারেজ।

• 9 বুঝাবে, বিগত ৯ বার এর Fast এবং Slow মুভিংএভারেজের পার্থক্য।

এটি একটি ভার্টিকাল লাইন দিয়ে তৈরি করা হয়, যাকে হিস্টোগ্রাম (Histogram)বলা হয়। (নিচের চিত্রের লাইনগুলো)

‍MACD এর প্রধান তিনটি লাইন হলো-

‍১. জিরো লাইন

২. MACD বা ম্যাকডি লাইন

৩. সিগন্যাল লাইন

হিস্টোগ্রাম সহজে দ্রুতগতির এবং ধীরগতির মুভিং এভারেজের পার্থক্য এঁকে দেখায়। আমরা যদি আসল চার্টের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যখন দুটি মুভিং এভারেজ আলাদা হয়ে যায়, তখন হিস্টোগ্রাম বড় হতে থাকে। এটাকে বলা হয় Divergence, তার কারণ দ্রুতগতির মুভিং এভারেজ ধীরগতির মুভিং এভারেজের থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।

আর যখন মুভিং এভারেজ দুটি পরস্পর কাছাকাছি চলে আসে, তখন হিস্টোগ্রাম ছোট হতে থাকে। এটাকে বলে Convergence, কারণ দ্রুতগতির মুভিং এভারেজ ধীরগতির মুভিং এভারেজের কাছাকাছি চলে আসে।

মূলত এটাই হচ্ছে Moving Average Convergence Divergence বা সংক্ষেপে MACD। তবে MACD হল একটি ল্যাগিং ইন্ডিকেটর। যা ঘটনা ঘটার পর সংকেত প্রদান করে থাকে।

MACD ক্রস ওভারের সময় দুটি ক্রস ওভার দেখা যায়ঃ

১. সিগন্যাল লাইন ক্রস ওভারঃ যখন দ্রুতগতির লাইনটি দ্বিতীয় ধীরগতির সিগন্যাল লাইনকে উপর থেকে বা নিচ থেকে ক্রস করে।

২. জিরো লাইন ক্রস ওভারঃ যখন দ্রুত গতির লাইনটি জিরো লাইনের উপরে বা নিচে ক্রস করে

দ্রুতগতির লাইনটি যখন ধীরগতির লাইনকে ক্রস করে উপরে উঠবে তখন সেটাকে বাই সিগন্যাল এবং উপর থেকে নিচে ক্রস করলে সেটাকে সেল সিগন্যাল হিসেবে গন্য করা হয়ে থাকে।

MACD এর বুলিশ সিগন্যাল বোঝার তিনটি উপাদান হল-

১. পজিটিভ ডাইভারজেন্স

২. বুলিশ মুভিং এভারেজ ক্রস ওভার

৩. বুলিশ সেন্টারলাইন ক্রস ওভার

MACD এর বেয়ারিশ সিগন্যাল বোঝার তিনটি উপাদান হল-

১. নেগেটিভ ডাইভারজেন্স

২. বেয়ারিশ মুভিং এভারেজ ক্রস ওভার

৩. বেয়ারিশ সেন্টারলাইন ক্রস ওভার।

------------------

এনগালফিং ক্যান্ডেলিস্টিক প্যাটার্ন (Engulfing Candlestick Pattern) কি?

এনগালফিং ক্যান্ডেলিস্টিক প্যাটার্ন মূলত দুইটি ক্যান্ডেলিস্টিক প্যাটার্নের মাধ্যমে গঠিত হয়ে থাকে যেখানে প্রথম ক্যান্ডেলের বডিকে দ্বিতীয় ক্যান্ডেলের বডি পুরোপুরি ঢেকে দিতে বা গ্রাস করতে সক্ষম।

ট্রেডিং এর ভাষায় দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি প্রথম ক্যান্ডেলটিকে Engulfed বা গ্রাস করে। এনগালফিং প্যাটার্নের মাধ্যমে বোঝা যায় বিদ্যমান ট্রেন্ডটিশেষ হতে যাচ্ছে এবং রিভার্স হিসেবে প্রাইজ বিপরীত মুখে যেতে পারে।

এটি একটি রিভার্সাল ক্যান্ডেলিস্টিক প্যাটার্ন যেটি বুলিশ কিংবা বিয়ারিশ সিগন্যাল প্রদান করবে মার্কেটের ডাউনট্রেন্ড নাকি আপট্রেন্ডে এসে এটি তৈরি হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে।

এনগালফিং ক্যান্ডেলিস্টিক প্যাটার্ন দুই ভাগে বিভক্তঃ

‍১. বুলিশ এনগালফিং প্যাটার্ন (Bullish Engulfing Pattern)

২. বিয়ারিশ এনগালফিং প্যাটার্ন (Bearish engulfing Pattern)

বুলবুল হায়দার,

টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট,

এসটিএস স্টক ট্রেড সিক্রেটস।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে