ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪
Sharenews24

বিডি থাই ফুড

আইপিও অর্থ ব্যবহার নিয়ে বিএসইসি’র তদন্ত কমিটি

২০২৪ মার্চ ১৭ ১৫:৩৩:০০
আইপিও অর্থ ব্যবহার নিয়ে বিএসইসি’র তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদন: খাদ্য খাতের কোম্পানি বিডি থাই ফুড ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। প্রাথমিক পাবলিক অফারের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দুই বছরের মধ্যে এ টাকা ব্যবহার করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইপিও অর্থ সম্পূর্ণরূপে ব্যয় করতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ শতাংশ অর্থ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। এরপর কাজ থেমে যায়। এখন আরও ছয় মাস সময় চাইছে।

কোম্পানির কর্মকর্তাদের মতে ডলার সংকট ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে কোম্পানিটি যে যন্ত্রপাতি আমদানি করার কথা ছিল, তার দাম বেড়েছে অনেক। যে কারণে কোম্পানিটি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি করতে পারেনি। এই কারণে এখন আরও ছয় মাস সময় চাইছে।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আইপিও অর্থ ব্যবহারের কারণ যুক্তিযুক্ত মনে না হওয়ায় সংস্থাটি ফেব্রুয়ারির শুরুতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি কোম্পানির আপিও অর্থ ব্যবহার পর্যালোচনা করে কমিশনের কাছে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেপ্রতিবেদন দাখিল করবে।

বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বিএসইসির উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুন্নবী ও সহকারী পরিচালক বিভাস ঘোষ।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, নতুন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য যে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছিল, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে বরাদ্দকৃত অর্থ যথেষ্ট নয়।

বিডি থাই ফুড আনুমানিক ৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে কোম্পানিটির যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিল।

কোম্পানিটি বিভিন্ন ধরণের ফলের রস, কার্বনেটেড পানীয়, পানীয় জল, হার্ড ক্যান্ডি, নরম ক্যান্ডি, ললিপপ এবং গাম তৈরি করে। যার বেশিরভাগই যুক্তরাজ্য, কোরিয়া এবং চীন থেকে আমদানি করা হয়।

কোম্পানিটি "নেক্টর" ব্র্যান্ড নামে তার পণ্য বাজারজাত করে। এটি সারাদেশে ২৭০টি ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ ও বিপণন করছে।

এর আগে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহার করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছিল।

কোম্পানির প্রসপেক্টাস অনুসারে প্রাথমিকভাবে এটি একটি টানেল ওভেনের জন্য ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল।

কিন্তু এখন এটি রোটারি ওভেন, প্যাকিং মেশিন ও ছাঁচের যন্ত্রাংশ আমদানি করবে।

কোম্পানিটি চীন থেকে একটি রোটারি ওভেন ও প্যাকেজিং মেশিন আমদানির জন্য ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, ভারত থেকে আরেকটি রোটারি ওভেন আমদানির জন্য ১৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এবং চীন থেকে তিন সেট ছাঁচের যন্ত্রাংশ আমদানির জন্য ৬০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে।

বাকি ১ কোটি ২১ লাখ টাকা বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি যেমন- ২৫০ কেভিএ ডিজেল জেনারেটর, ৫০০ কেজি ক্ষমতা সম্পন্ন বয়লার সংগ্রহ এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হবে।

সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিডি থাই ফুড চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর’২৩) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৩১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৭ পয়সা।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের ব্যবসা থেকে উদ্যোক্তা পরিচালকদের বাদ দিয়ে কেবল সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১ শতাংশ অন্তবর্তী ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।

শেয়ারনিউজ, ১৭ মার্চ ২০২৪

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে