ঢাকা, সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Sharenews24

যুক্তরাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি যত স্টুডেন্ট অ্যাসাইলাম ক্লেইম করেছেন

২০২৪ মে ০৮ ০৯:৫৩:৪১
যুক্তরাজ্যের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি যত স্টুডেন্ট অ্যাসাইলাম ক্লেইম করেছেন

প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাজ্য অফিস যুক্তরাজ্যে নেট মাইগ্রেশন কমোনোর ইচ্ছা সরকার থেকে শুরু করে অনেক প্রতিষ্ঠান একাট্টা। তবে সে দেশে নেট মাইগ্রেশন কমানো অনেক কঠিন। সম্প্রতি ব্রিটেনের ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যত জন ফরেন স্টুডেন্ট এসেছে তাদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি অ্যাসাইলাম ক্লেইম করেছেন।

এছাড়া অনেকে ফরেন স্টুডেন্ট ভিসা স্পন্সর সিস্টেমকে মাইগ্রেশনের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে অভিহিত করেছে।

একটি গোপনীয় হোম অফিস ডাটাবেস অনুসারে, ১২ মার্চ ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬ হাজার ১৩৬ জন বিদেশী শিক্ষার্থী আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় চার গুণ বেশি। এই আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে আরও ২ হাজার ১৯৫ জনকে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি শিক্ষা সংস্থা স্পনসর করেছিল।

অ্যাসাইলাম ক্লেইম করাদের মধ্যে স্টাডি গ্রুপ ইউকে সবচেয়ে বেশি ফরেন স্টুডেন্টকে ভিসা স্পন্সর করেছে। এ সংখ্যা ৮০৪ জন। এদের মধ্যে ৬৪২ জন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এবং ১৫৬ জন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত স্টুডেন্ট। স্টাডি ইউকে বিশ্বব্যাপী ৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদের স্পন্সর ভিসার ব্যবস্থা করে দেয়।

স্টাডি ইউকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে পোর্টসমাউথ ইউনিভার্সিটি। তারা এমন ৩৯৫টি স্পন্সর ভিসা দিয়েছে যারা অ্যাসাইলাম আবেদন করেছে।

এ ইউনিভার্সিটির অ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের মধ্যে ২৫২ জন বাংলাদেশি, ৫৪ জন আফগান, ৩৮ জন ক্যামেরুনিয়ান এবং ২৮ জন পাকিস্তানি রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ডি মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটির রয়েছে ৩১০ জন।

তারপর ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারের ২৭৫ জন, কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির ২১৭ জন এবং ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসের ১৯৪ জন।

এ বিষয়গুলো নিয়ে একবার হোম সেক্রেটারি সুয়েলা ব্র্যাডারম্যানের মন্তব্য ছিল যে ইউনিভার্সিটিগুলো স্টুডেন্ট নয় অভিবাসী নিয়ে। গত ডিসেম্বরে হোম সেক্রেটারি জেমস ক্লিভারলি গ্রাজুয়েট ডিসার একটি এসেছেন।

এতে বলা হয়, কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা দুই বছর পর্যন্ত ব্রিটেনে কাজ করার সুযোগ পাবে। হোম অফিসের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত বছর ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৩টি স্পন্সরড স্টাডি ভিসা দেওয়া হয়েছিল। এটি ২০২২ সালের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কম কিন্তু কভিড মহামারির আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি।

ইউনিভার্সিটিজ ইন্টারন্যাশনালের হায়ার এডুকেশনের একজন মুখপাত্র বলেন, ফরেন স্টুডেন্টদের নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভিসা কমপ্লায়েন্সকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। তারা হোম অফিস এবং ইউকে ভিআইয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে স্পন্সর ভিসা দিয়ে থাকে। এ সিস্টেমে ভিসা অপব্যবহারের সম্ভাবনা কম।

শেয়ারনিউজ, ৮ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে